মানুষ তার জীবনকাল পরিচালনায় জীবনাবসানের আগ পর্যন্ত অনেকগুলো বছর পার করে।এই জীবনকালে তাকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হয়,এবং অনেক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়।ভালো অভিজ্ঞতা যেমন মানুষকে সুখঃস্মৃতি দেই তেমনি খারাপ অভিজ্ঞতা মানুষকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে শক্ত ইস্পাতে পরিনত করে।যেটা আমাদের ভবিষ্যতে প্রেরণা জোগায়। প্রত্যেকটা মানুষের জীবন পরিচালনার একটা সুনির্দিষ্ট এথিক্স থাকে। ক্রিস্টপার কলম্বাসের ভাষায় এর নাম “The life leading Ethics”. মানুষ অভ্যাসগত ভাবে খুবই অনুকরন প্রিয়।তাই এরা তাদের আইডোলজির উপর ভিত্তি করে লাইফের এথিক্সগুলো ফলো করে।যে যার আইডোল সে জীবন পরিচালনার এথিক্সগুলো তার দেখে শেখে।
প্রতিটি মানুষের জীবনের দাড় প্রান্ত পৌছাতে কিছু বেসিক এথিক্স ফলো করতে হয়, তার মধ্যে মানুষের ব্যাক্তিত্ব,হার না মানা,আত্মসম্মান প্রধান।
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে জীবন পরিচালনায় বাজপাখির জীবনের এথিক্স ফলো করি।আশরাফুল মাখলুকাতে আমার কোন আইডোলজিস্ট নেই বর্তমানে ।বাজপাখি হল সকল পাখিদের রাজা (The King Falcon)।দৈহিক গঠন বড় ও এদের দক্ষ শিকার করার ক্ষমতার জন্য এরা রাজা তার জন্য না।এদের রাজা হওয়ার একমাত্র কারন এদের উন্নত জীবনদর্শন।
**পাখিদের মধ্যে এদেরকে সবচেয়ে ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন পাখি বলা হয়।জীবন দর্শনে এরা বামে,ডানে নিচে কখনো তাকাই না। এদের লক্ষ্য সবসময় সামনে ও উপরে।এর থেকে আমি আমার নিজের জীবনের লক্ষ্য সেট করার একটা তিব্র একাগ্রতা পাই।
**ফ্যালকনরা কখনো নিচ দিয়ে উড়ে না শিকার করা ব্যাতিত।ঘন কালো মেঘ জমলেও এরা দুর্যোগের ভয় পাইনা,কারন এরা মেঘের উপর দিয়ে ওড়ে।নতুন সুর্য এদেরকে প্রেরণা দেই তাই এরা শত শত ফুট উপরে গিয়ে চকচকে সুর্যের ঝলকানিতে এরা উড্ডয়ন করে।এখান থেকে আমি আমার জীবনের কোন বিপদে,কোন ব্যার্থতায় না হার মেনে সকল মেঘকে সরিয়ে রক্তিম সুর্য দেখার এথিক্সটা ফলো করি।
**এজ এ প্রিডেটর এরা সবচেয়ে উন্নত ব্যাক্তিত্বের প্রানী।কারন জীবনদর্শন এ কখনো স্কাভেঞ্জার হই না,সবসময় শিকার করে এবং তা খাদ্য হিসাবে গ্রহন করে।নিজের খাদ্য উৎপাদনে কখনো অন্যের উপর নির্ভর করে না।যত ক্ষুধার্তই হোক না কেন নিজের খাদ্য নিজেই প্রোডিউস করে।এখানে বাজপাখির সুস্পষ্ট উন্নত ব্যাক্তিত্বকে নিজের এথিকস হিসাবে গ্রহন করি।কারো উপর নির্ভরশীলতা কে পরিহার করি।
**প্রত্যেকটা ব্যার্থতার সমিকরনকে সে তার স্মৃতিতে অনড় রাখে, তারপর পরদিন,বা অন্য কোন সময় সেই স্থান থেকে,সেই ব্যার্থতা থেকে আবার শুরু করার উদ্দ্যম নিয়ে বের হয়।পাখি বিজ্ঞানীদের মতে একে বলা হয় Havitual correspondent, অভ্যাসগত পুনরাবৃত্তি। ঠিক আমিও এই এথিক্সে অনুপ্রানিত হয়ে প্রত্যেকটা ব্যার্থতার সমীকরণকে আমি আমার ডাইরিতে লিখে রাখি।আমি জানি আমি আজ না হয় কাল বা অনেক বছর পর আবার সেই যায়গাই যাব এবং পুনরায় আমার ব্যার্থতায় আবার ক্লিক করে নতুন করে শুরু করব।
ব্যার্থতার মানদণ্ড দিয়ে আমি কখনো নিজেকে মাপিনি, মাথা নোয়াই নি।কখনো থেমে থাকি নি।হার মানি নি।আর এইগুলোই নিজের এথিকস হিসাবে মানি এবং জীবন পরিচালনা করি।মানুষ তার ক্যাপাব্লিটির বেশি করতে পারে না।
“In life,Everything is fixed without our calibre, And Our caliber is limitless. “
তহ জীবনদর্শনের এথিকস গুলো উন্নত হলে সকল বাধা, বিপত্তি,ও ব্যার্থতা গুলোকে কাটিয়ে ওঠা যায়।
আর এই Falconও মানুষের দাসে পরিনত হয় আর মানুষ হয়ে যাই Falconer.ফ্যালকনের ট্রেইনার।
কালো মেঘ সরিয়ে আমাদের রক্তিম সুর্য দেখার মত উদ্দ্যমি হতে হবে,প্রতিটি ব্যার্থতার সমীকরণকে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে,নির্দিষ্ট কারোর প্রতি নির্ভরশীলতা বাদ দিতে হবে।সর্বপোরি,উন্নত ব্যাক্তিত্বের অধিকারি হতে হবে।
Till then,পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে।
ফের মিলেঙ্গে,দেখা হবে বিজয়ে। ✌️🤟
Writen by Abu Hanif Biplab