ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশের পূর্বাঞ্চল। বাড়ছে জলাবদ্ধ মানুষের সংখ্যা।
সিলেট-সুনামগঞ্জে প্রায় দুই লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন। এ দুই জেলার সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সিলেটে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ওসমানী বিমানবন্দরে বিমান অবতরণ বন্ধ রয়েছে।
শেরপুর ও নেত্রকোনার কিছু এলাকায় বন্যার আশঙ্কা চরম আকার ধারণ করেছে। অন্যদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যারেজের সব গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
টানা বর্ষণে নগরীর রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ঘরে পানি ঢুকেছে। সিলেটের মানুষ বলছেন, স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা।
কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটের সঙ্গে সিলেট সদরের কোনো সড়ক যোগাযোগ নেই। বানভাসি মানুষ ছুটছে আশ্রয়কেন্দ্রে। শহরের ৩৬টিসহ জেলায় মোট ৪৮৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পানি ঢুকে গেছে। প্রশাসনের অনুরোধে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সিলেটে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবুর রহমান বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু তাদের উদ্ধারের জন্য পর্যাপ্ত যানবাহন নেই।
সিলেট সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল হামিদুল হক বলেন, আমরা ৬টি উপজেলায় সেনা মোতায়েন করেছি। তিনি বলেন, বড় গোডাউন ও পাওয়ার স্টেশনেও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদরের সঙ্গে সব উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন দুর্গত এলাকার মানুষ। পুরো জেলা বিদ্যুৎহীন।
ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও অন্যান্য উত্তরাঞ্চলীয় নদীর তীরবর্তী নিচু এলাকাগুলো পানির উচ্চতা অব্যাহত থাকায় প্লাবিত হয়েছে। লালমনিরহাটে ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সীমান্তবর্তী সাধারণ নদীতে পানি বাড়ছে। নেত্রকোনা ও শেরপুরের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ।