মূলত বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে লীগ অব নেশনস গঠন করা হলেও
পরবর্তীতে সংগঠনটি তার লক্ষ পূরণ করতে ব্যর্থ হয়।
লীগ অব নেশনস পরিচালনার জন্য ৫ টি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র ব্রিটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, ইতালি ও জাপান
নিয়ে একটি পরিষদ বা কাউন্সিল গঠিত হয়।যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
লীগ অব নেশনসে যোগদান না করায় স্থায়ী সদস্যপদে ৪ টি দেশ থাকে।
লাীগ অব নেশনসে প্রথম পর্যায়ে ৪০ টি দেশ চুক্তি সাক্ষর করেছিল, দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ৫০ টি দেশ এতে যোগ দিয়েছিল।
লাগ অব নেশনসের প্রধান তিনটি শাখাহলো
১.সাধারণ সভা
২.কাউন্সিল
৩.সচিবালয়
১. সাধারণ সভা: সকল সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সাধারণ সভা গঠিত হয়। প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্র তিনজন করে প্রতিনিধি প্রেরণ করতো। প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্র একটাই ভোট দিতে পারতো। ভোটের মাধ্যমে একজন সভাপতি ও ৮ জন সহসভাপতি নির্বাচিত হতেন। সাধারণ সভার কাজ সুষ্ঠু ভাবে পরিচলানার জন্য ৬ টি স্থায়ী কমিটি ছিলো।
*সাধারণ সভার কার্যাবলি:
লীগের মহাসচিব নির্বাচন করা,
লীগের বাৎসরিক বাজেট আলোচনা করা,
লীগ পরিষদের অস্থায়ী সদস্যদের নির্বাচন জরা,
আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারক নির্ধারণ করা,
রাজনৈতিক বিষয়ে সুপারিশ আকারে সিদ্ধান্ত প্রদান
ও বিশ্বশান্তি অপরিহার্য যে কোন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা।
লেখা: ইয়ন্তি নিঝুম
তথ্য: বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর(তারেক শামসুর রেহমান)