রোজার সময়ে দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। একারণে এমনিতেই মানুষ পানিশূণ্যতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হতে পারেন। তার ওপর এবছর চৈত্র মাসের দীর্ঘ ও উত্তপ্ত দিনের বেলা রোজা রাখতে গিয়ে পনিশূন্যতায় ভোগার আশঙ্কা বেশি থাকবে।
অনেকেই ইফতারের পর আর খেতে চান না। এটি ঠিক নয়। রাতের খাবার খেতে হবে পরিমিত মাত্রায় এবং সেহরিও খেতে হবে। তাহলে পানির ঘাটতি কম হবে। রোজার এই দীর্ঘ গরমে পানিশূন্যতা কেন হয়?এর লক্ষ্মণ কি?পানিশূন্যতা থেকে মুক্ত থাকবেন কীভাবে? এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছি।
⛔ পানিশূন্যতা কেন হয়?
\দীর্ঘ সময় ধরে পানি না পান করার কারণে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে।
\খাবার তালিকায় পানিসমৃদ্ধ খাবার না রাখা।
\জ্বর বা ডায়রিয়ার মতো অসুস্থতাজনিত কারণে।
\অতিরিক্ত ভাজা পোড়া জাতীয় খাবারের কারণেও পানিশূন্যতা হতে পারে।
\ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত সময়ে পর্যাপ্ত পানি পান না করা।
\ইফতারের পর অতিমাত্রায় চা কফি খেলে।
\অতিরিক্ত রোদ বা গরমে থাকার কারণে।
⛔ পানি শূণ্যতার লক্ষণঃ
√ শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়লে জিহ্বা দেখে সহজে বোঝা যায় কারণ জিহ্বা শুকিয়ে যায়।
√ অনেকের চোখ গর্তে চলে যায় এবং দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে। তাছাড়া শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা তেরি হয়।
√ পানিশূন্যতার কারণে হার্ট রেট ও প্রেশার কমে যেতে পারে।
⛔ পানিশূন্যতা থেকে মুক্ত থাকার করণীয় কি?
√ ইফতার ও সেহরির মধ্যকার সময়ে পর্যাপ্ত পানি পান করা।
√ সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া।
√ ইফতারে ফলের রস ও ফলের পরিমাণ বেশি রাখা।
√ সরাসরি রোদে না যাওয়া।
√ অতিরিক্ত খাবার না খাওয়া।
√ প্রয়োজনে ডাবের পানি বা খাবার স্যালাইন পান করা।
√ হালকা শরীর চর্চা করা।
আবার, অনেকেই পানি পান করতে গিয়ে ফ্রিজ থেকে বের করা ঠাণ্ডা পানি খেয়ে থাকেন যা মোটেও ঠিক নয়।অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি থেকে বিরত থাকতে হবে। যাদের চা পানের অভ্যাস আছে তারা দুধ চায়ের বদলে রং চা পান করতে পারে পরিমিত মাত্রায়। আর পর্যাপ্ত পানির পাশাপাশি খাবারে লাউ কুমড়ো বা পেঁপে জাতীয় খাবার বেশি রাখলে শরীর পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পাবে।
কলমে আবু হানিফ বিপ্লব 🌺