■■ যিনা কাকে বলে? কোন কাজ গুলো যিনা? যিনা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন এবং যিনা করার পূর্বে এই হাদীসটিএকবার পড়ে নিন!!
যিনা কী?
শুধুই অবৈধ ভাবে মেলামেশা করাকেই যিনা বলা হয়?
-না!!
হাদীসের ভাষায় যিনা বহু প্রকারে বিভক্ত।
যেমনঃ
০১। কোন বেগানা নারী অথবা পুরুষের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া চোখের যিনা!
০২। যৌনতা সম্পর্কিত অশ্লীল কথাবার্তা বলা জিহ্বার যিনা!
০৩। বিবাহ সম্পর্ক ছাড়া অবৈধ ভাবে কাউকে স্পর্শকরা হাতের যিনা!
০৪। ব্যাভি চারের উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের যিনা!
০৫। সে সম্পর্কিত খারাপ কথা শোনা কানের যিনা।
০৬। যিনার কল্পনা করা ও আকাংখা করা মনের যিনা!
০৭। অতঃপর লজ্জাস্থান একে পূর্ণতা দেয় অথবা অসম্পূর্ণ রেখে দেয়!
—–(বুখারী, মুসলিম, সুনানে আবু দাউদ, সুনানে আন-নাসাঈ)!
অথচঃ আমরা কেবলমাত্র সর্বশেষ ধাপ টিকেই যিনা মনে করে থাকি! এবার ভেবে দেখুন আপনি এসব কাজের কোনো একটির সাথে জড়িত ননতো?
যিনা স্পষ্ট হারামঃ
আল্লাহ তা’আলা যিনাকে হারাম ঘোষণা করে বলেনঃ ——-“তোমরা যিনার ধারের কাছেও যাবে না। কেননা তা অত্যন্ত নির্লজ্জ এবং খারাপ কাজ।”
—–(সুরা বনী-ইসরাঈল আয়াতঃ ৩২)
যিনার শাস্তিঃ
যিনার শাস্তি অত্যন্ত ভয়াবহ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
———“আমি স্বপ্নে একটি চুলা দেখতে পেলাম। যার উপরের অংশ ছিল চাপা আর নিচের অংশ ছিল প্রশস্ত। আর সেখানে আগুন উত্তপ্ত হচ্ছিল এবং ভিতরে নারী পুরুষরা চিল্লাচিল্লি করছিলো! আগুনের শিখা উপরে আসলে তারাও উপরে উঠছে, আবার আগুন স্তিমিত হলে তারা নিচে যাচ্ছিলো! সর্বদা তাদের এঅবস্থা (এমন)চলছিলো! আমি জিবরাঈল(আঃ )কে জিজ্ঞেস করলামঃ এরা কারা???”
জিবরাঈল(আঃ) বললেনঃ
——-“তারা হলো অবৈধ যৌনচারকারী নারী ও পুরুষ!”
—–(বুখারী)
যিনা কারীর লজ্জা স্থানের দূর্গন্ধে জাহান্নাম বাসী অস্থির হয়ে উঠবে!
সেদিন যিনা কারীকে পিপাসা মেটানোর জন্য এই পঁচা পানিই পান করতে দেওয়া হবে!
তাই সবারই উচিত প্রেমিক-প্রেমিকা নামের বিবাহ বহির্ভূত এই সব শয়তানি সম্পর্ক বাদ দেওয়া।
–আবু হানিফ বিপ্লব