শুধু গোলের দেখাই পাননি, এছাড়া যা কিছু সম্ভব সবই করেছে। আক্রমণ, এসিস্ট কিংবা চোখ ধাঁধানো ড্রিবলিং সব নিয়মিত করে। তবে আজ প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নেওয়ার জন্য মেসিকে ট্যাকল করতেও দেখা গেছে।
যা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেয়, ম্যাচটি জেতার জন্য কতটা মরিয়া ছিলেন মেসি। আর এ জয়ে তিন গোলের দুইটিতেই অ্যাসিস্ট এসেছে তার পা থেকে।
ইতালীয় গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডনারুম্মার বুঝেছে মেসি কি জিনিষ ।
ইতিহাসের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারের আক্ষেপ ছিল আন্তর্জাতিক শিরোপা। ২০২১ ও ২০২২ সালে জিতলেন দুইটি শিরোপা।
এই ম্যাচে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন সাতবারের ব্যালন ডি অর জয়ী লিওনেল আন্দ্রেজ মেসি।
ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান লিখেছেন,
লিওনেল মেসিকে আটকানোর সাধ্য ছিল না ইতালির। গোলটাই কেবল পাননি তিনি। তবে পুরো সময়টাই তো ইতালিকে নিয়ে ছেলেখেলা করলেন রীতিমতো। জাদুকরী ফুটবলে।
আসলে পুরো আর্জেন্টিনা দলই ছেলেখেলায় মেতেছিল যেন ইতালিকে নিয়ে নিয়ে। চোখ ধাঁধানো ফুটবলের শৈল্পিক প্রদর্শনীতে।
দুই মহাদেশসেরার রোমাঞ্চকর লড়াই দেখার প্রত্যাশা ছিল তো অনেকের। কিসের কী! লাতিন চ্যাম্পিয়নরা রীতিমতো উড়িয়ে দিল ইউরোপ সেরাদের। লাউতারো মার্তিনেজ, আনহেল ডি মারিয়া এবং পাউলো দিবালার গোলে ম্যাচের ফল আর্জেন্টিনা ৩ : ইতালি ০।
কিন্তু এটা ৬-০ হলেও কি আশ্চর্য হওয়ার কিছু ছিল? অন্তত যাঁরা খেলা দেখেছেন, তাঁরা উত্তরটা জানেন।
জাতীয় দলের জার্সিতে শিরোপাখরা মেসি ঘুচিয়েছেন গত বছরের কোপা আমেরিকা জিতে। এবার এই ‘ফিনালিসিমা’ জয়।
কাতার বিশ্বকাপে ট্রফি জেতার মহড়াটাই কি দিয়ে রাখছেন মেসি এবং আর্জেন্টিনা?