🍂মা হওয়া কখনই সহজ কিছু না ছিলোনা এখনো সহজ হয়নি।।।সেটা নরমাল ডেলিভারি হোক আর সিজার।কিন্তু একজন সিজার করা মা ই বুঝবে এই ইঞ্জেকশন এর কি যন্ত্রনা।ঠিক একদম মেরুদন্ডের মাঝে গিয়ে এই ইঞ্জেকশনটি তিরের মত গিয়ে বিদ্ধ করে।
চিন চিন করে নিচের সারা শরির অবশ করে দেয়।অবশের রেশ কয়েক ঘন্টা পর চলে গেলেও ওই ইঞ্জেকশন সারা জিবনের জন্য সেই মা কে অর্ধেক শেষ করে দেয়।।এক প্রকার পংগু করে দেয়।।
বাচ্চা হয়ে যাওয়ার পরেও না পারে অনেকক্ষন ঠাই দাঁড়িয়ে থাকতে, না পারে মাজা নিচু করে অনেকক্ষন কাজ করতে।বাবুকে বসে দুধ খাওয়াতে গেলেও পিঠ ব্যাথা যন্ত্রনায় বসতে পারেনা। বসে থাকাটাও কষ্টকর হয়ে যায়।
সিজারের কারনে অনেক বছর ভারি কিছু কাজ তো সে করতেই পারেনা।কিন্তু নিজের সন্তান কে ঘন্টার পর ঘন্টা তাকেই সামলাতে হয়।কোমর আর পারেনা কিন্তু কিছু করার থাকেনা।তার ও অনেক বছর পরেও ভারি কিছু তুললে সেই কোমরে এমন যন্ত্রনা হয় যে সে যন্ত্রনা কাউকে বুঝাতে পারেনা।
একটু সেলাইমেশিনে বসলেই মাজা আর কোমর ব্যাথা হয়ে যায়।অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে রান্না বান্না কাজ করলে সেই মাজা পিঠ ভেংগে আসে।কিন্তু কিছু করার থাকেনা সেই মায়ের।
সংসার তো তাকে সামলাতেই হবে।বাচ্চাদের আর স্বামির দিকে তাকিয়ে এমন হাজারো সিজার করা নারী এই ইঞ্জেকশন এর ব্যাথা সারাজীবন পিঠে বহন করে কাউকে কিছু না বুঝিয়ে সংসার করে যাচ্ছে। 👩👦👦
~আবু হানিফ বিপ্লব