👉এক গ্রামে দুই অন্ধ ভিক্ষুক বাস করত।
দুজনই একটু বোকা প্রকৃতির ছিল।
গ্রামে ভিক্ষা করে তারা খুব একটা আয় করতে পারত না। তো তারা ভাবল প্রতিদিন সকালে ভিক্ষা করতে শহরে যাবে আর রাতে গ্রামে ফিরে আসবে। তো পরের দিন সকালে তারা শহরে চলে গেল। সারা দিনে তাদের ভালোই আয় হল।
দেখতে দেখতে দিন গড়িয়ে রাত হল। রাতের অন্ধকারে বাড়ি ফেরা নিয়ে এক অন্ধ অনেক চিন্তিত হয়ে পড়ল। তখন অন্য অন্ধ তাকে বলল “ভয় নেই আমি তোমাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাব।” এই বলে সে তার ঝুলি থেকে পুরোনো একটা টর্চ বের করে দুজনে হাতরে হাতরে পথ চলতে লাগলো।
এভাবে কিছু দূর যাবার পর দুজনেই ময়লা পানি ভর্তি একটা গভীর ডোবায় গিয়ে পড়লো। তারা দুজনই সাতার জানত না। ডোবার ময়লা পানির স্বাদ মুখে টের পাওয়ায় এক অন্ধ অন্যকে বলল “পানির স্বাদ এমন নোনতা কেন?
আমি নিশ্চিত আমরা সমুদ্রে এসে পড়েছি। মনে হয় বাঁচার আর সুযোগ নেই “এই কথা বলে তারা আরো জোড়ে হাত পা ছুড়তে লাগল এবং অল্পসময়ে ক্লান্ত হয়ে ওই ডোবায় ডুবেই মরল।
নোট_: ১) যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে আমাদের শক্তি ও সীমাবদ্ধতাগুলো বিবেচনা করা উচিৎ। অন্ধরা যেমন নিজেদের অন্ধত্বকে বিবেচনা না করেই দূরে শহরে ভিক্ষা করতে গিয়েছিল, আমরাও যদি আমাদের সীমাবদ্ধতাকে অস্বীকার করে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেই তবে ব্যর্থতা নিশ্চিত।
২) এক অন্ধ যেমন আরেক অন্ধকে পথ দেখাতে পারেনি, তেমনি আমরা যাকে অনুসরন করব বা করছি সে-ই যদি ভুল পথের অনুসারী হয় তাহলে আমরাও সঠিক পথ খুঁজে পাব না।
৩) অন্ধের হাতে টর্চ থাকলে যেমন সেটা সে কাজে লাগাতে পারে না, ঠিক তেমনি অযোগ্য লোকের হাতে ক্ষমতা থাকলেও সে তার সঠিক ব্যবহার করতে পারে না।
৪) ডোবাকে সমুদ্র ভেবে অন্ধরা যেমন মরার আগেই হাল ছেড়ে দিয়েছিল, আমরাও যদি তেমনি সমস্যা/বিপদকে সঠিকভাবে উপলব্ধি না করে আগেই হাল ছেড়ে দেই তবে আমাদের পরিনতিও ডোবায় ডোবা অন্ধদের মত হওয়াই স্বাভাবিক। ©
Your article gave me a lot of inspiration, I hope you can explain your point of view in more detail, because I have some doubts, thank you.