মুরগী যদি নিজের পায়ে শরীরের ভর দিয়ে হাঁটতে না পারে, তবে বুঝতে হবে সেই হাড়ে আপনার কোন লাভ হবেনা।
বাণিজ্যিক ব্রয়লার মুরগীকে যদি আলাদাভাবে ভিটামিন -ডি খাওয়ানো হয়, সেক্ষেত্রে মুরগীর হাড় খেয়ে উপকার পেতে পারেন। অনেক দেশের মুরগির খাবার ভিটামিন ডি ফর্টিফাইড হয়, সেসব মুরগির হাড়ে ক্যালসিয়াম পেতে পারেন।
তবে, হাড়ের প্রান্ত বেশি ফোলা ও নরম থাকলে বুঝতে হবে ওটা অপরিণত হাড়ঁ ( রিকেটস) বা ইনফেকশনও ( অস্টিওমাইয়েলাইটিস) থাকতে পারে।ব্রয়লার মুরগীর সৃষ্টি হয়েছে মাংসের জন্য।
হাড় এবং মাংসের মাঝে কালো দাগ হাড়ের মজ্জা লিক করে বেরিয়ে আসার চিহ্ন। অর্থাৎ এর হাড় অপরিণত ।ব্রয়লার মুরগীকে দ্রুত বড় করার জন্য অননুমোদিত মাত্রার হরমোন ও কখনো এন্টিবায়োটিক মাত্রাতিরিক্ত প্রয়োগ করা হয়। এই হরমোন ও এন্টিবায়োটিক অস্থিমজ্জায় ও অন্যান্য অঙ্গে জমা হয়। কাজেই মুরগির হাড়, কলিজা,পা, গিলা, এবং চামড়া না খাওয়াই ভাল।
ব্রয়লার মুরগির মাংস দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য তার মাঝে সাদা চর্বির স্তর দেখতে পাবেন, মাংসপেশি কম থাকায় এই চর্বির জন্য মাংস নরম হয় ও দ্রুত রান্না/সিদ্ধ হয়।
দেশি মুরগি রোদের আলোয় বড় হয় ও প্রাকৃতিক খাবার, ঘাস, পোকামাকড় খায় বিধায় ক্যালসিয়ামের প্রভাবে তাদের হাড় খুব শক্ত হয় ও মাংসে চর্বি কম থাকায় তা শক্ত হয়ে থাকে ।
কিছু বিষয় জেনে রাখা ভাল।
1,অপরিপক্ক হাড়ে কোন ক্যালসিয়াম ও খাদ্য উপাদান নেই ।
2, মুরগির শরীরে ইনফেকশন থাকলে মুরগি প্রসেসিং অর্থাৎ কাটাকাটি এর সময় আপনি আক্রান্ত হয়ে যাবেন , রান্না অনেক পরের ব্যাপার ।
3, 200′ সে এ রান্না করলে হাড়ের ভিতরে জীবাণু মারা গেলেও তার toxin অক্ষত থাকবে ।
4, কোভিড19, টিবি , বার্ড ফ্লু বা ক্যান্সার ওয়ালা মুরগি হ্যান্ডলিং করা ও বিপদজনক ।
5, আপনার যদি নিজস্ব মুরগির ফার্ম থাকে , অসুস্থ মুরগি অনুগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করবেন না । মাটিতে পুঁতে ফেলবেন। কারন বিক্রির সময় ওজন করতে গেলে দাড়িপাল্লাসহ আক্রান্ত হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ।