- Advertisement -
যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক অভিকে প্রায় ৯ মাস আটকে রেখে। তাকে আটকে রাখেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক গাজীপুরের একটি মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)-এর কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয় বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে।
- Advertisement -
- Advertisement -
অভিসহ ২০ জনকে উদ্ধার করে মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে র্যাব মঙ্গলবার (০৪ জানুয়ারি) গাজীপুরের নগরীর ভাওয়াল। মালিক ফিরোজা নাজনীন আটক করে বাঁধনসহ পাঁচজনকে। রিহ্যাব সেন্টারের নারকীয় ঘটনার বর্ণনা দিলেন অভি ৯ মাস বন্দি থাকার পর উদ্ধার হয়ে। আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি করোনার সময়ে কাজ না থাকার কারণে।
ঠিকঠাক ভাবে চলছে না আমার কোম্পানি বন্ধ হওয়ার পথে। ঋণ নিতে হয় কর্মচারীদের বেতন দিতে বন্ধ হওয়ার পথে বসে একটা সময় কাজ একেবারে। আমি ঘুমের ওষুধ খাওয়া শুরু করি রাতে ঘুম না হওয়ায় একটা সময়। সন্দেহের বশে রিহ্যাবে ভর্তি করে পরিবার আমাকে সামান্য কিছু ঘুমের ওষুধের রক্তে মিশ্রণ পায়ডোপ টেস্ট করে।
- Advertisement -
তিনি বলেন, আমাদের ক্ষুধার্ত রাখা হতো রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি হওয়ার ভয়াবহ ঘটনা নিয়ে। গিলে খেয়ে ফেলতাম, যেন কেউ না দেখতে পায় গরম ভাত হলে হাত দিয়ে ধরে। আগুন নামছে মনে হতো গলা দিয়ে। মানুষ এমনটা করে কতটা ক্ষুধার্ত থাকলে। একজনের সাথে পরিচয় হয় রিহ্যাবে থাকা অবস্থায় আমার।
আমার প্রাণ বাঁচাতে তাকে আমি বলি বুঝতে পারে সে। র্যাবেতিনি বলেন, আমাদের ক্ষুধার্ত রাখা হতো রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি হওয়ার ভয়াবহ ঘটনা নিয়ে। গিলে খেয়ে ফেলতাম, যেন কেউ না দেখতে পায় গরম ভাত হলে হাত দিয়ে ধরে। আগুন নামছে মনে হতো গলা দিয়ে। মানুষ এমনটা করে কতটা ক্ষুধার্ত থাকলে। একজনের সাথে পরিচয় হয় রিহ্যাবে থাকা অবস্থায় আমার। অভিযোগ জানায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। আমাকে উদ্ধার করে এরই প্রেক্ষিতে ওখান থেকে।
শারীরিক নির্যাতন, মানসিক নির্যাতন ও যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন অভি তার ঘটনা নিয়ে বর্ণনা দিতে গিয়ে পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসার নামে। শারীরিক নির্যাতন করা হতো বলে অভি জানান এখানে চিকিৎসার নামে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে। অ্যাবিউজ করতেন মালিক বাঁধন ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী তরুণদের।
- Advertisement -