তাকবীর দিবস করে ইসলামের কি লাভ হবে? কোনো কল্যাণ কি আছে এতে? বাঙালির এতো আবেগ। এর আগে ইসলামের ইতিহাসে কত বড় বড় ঘটনা ঘটে গেছে। রাসুল সা এর জীবনের বেশিরভাগ দিনই বিশেষ ঘটনা ঘটেছে। সেগুলোর চেয়েও কি এই ঘটনা খুব গুরুত্বপুর্ণ?
অথচ ঐ সময়ের বিশেষ ঘটনার দিনগুলো না রাসুল সা কিছু পালন করেছেন না সাহাবীগন করেছেন না পরবর্তীতে কেউ করেছেন। কেন করেন নি তারা?
কারণ ইসলামী কালচার না দিবস হিসেবে পালন করা। এটা সম্পূর্ণ বিজাতি কালচার। একমাত্র আল্লাহর হুকুম ও রাসুল সা এর আদেশে দেওয়া ফজিলতপুর্ণ দিন বাদে কোনো দিনের আলাদা কোনো ফজিলত থাকতে পারে না।
তাকবীর দিবেন আপনি সেটা দিবস হিসেবে পালন করতে হবে কেন? প্রতিদিনই দেন না। আর প্রতিদিন আপনাকে দিতেই হবে। আপনার উপর ফরয। আলাদা দিবস করে একদিন দিবেন আর সারাজীবন ভুলে থাকবেন এমনটা ইসলাম নয়।
☞ রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যামানায় এসব দিবসের কোন অস্তিত্ব ছিল না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের শরী‘আতে এমন কিছু নতুন সৃষ্টি করল, যা তার মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত’ (বুখারী হা/২৬৯৭; মুসলিম হা/১৭১৮; মিশকাত হা/১৪০)। এতদ্ব্যতীত অমুসলিমদের অনুকরণে যেসব দিবস পালিত হয়, তার সাথে ইসলামের কোনই সম্পর্ক নেই। এগুলি স্রেফ জাহেলিয়াত এবং বিজাতীয় সংস্কৃতি মাত্র। যেমন- নববর্ষ, থার্টিফার্স্ট নাইট, ভালোবাসা দিবস, মা দিবস, বাবা দিবস, হাত ধোয়া দিবস ইত্যাদি।
☞ নতুন করে আবার তাকবির দিবস তৈরি হচ্ছে। মানুষ আবেগের ঠেলাই ইসলাম কে কুলশিত করছে। অথচ এর সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। সবাই সাবধান নতুন বিদ’আত সৃষ্টি করবেন না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে ব্যক্তি (কিয়ামতের দিন) তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (আবুদাঊদ, সনদ হাসান, মিশকাত হা/৪৩৪৭ ‘পোষাক’ অধ্যায়)।
Good post!
সহমত
Nice post
Great post