ডিভোর্সড নারীকে বিয়ে করার অনেক ডিজিটাল ফায়দা আছে । এদের চাহিদা মাটিতে গড়াগড়ি খায় , যেসব ডিভোর্সড নারী অন্তর-আত্মা দিয়ে সংসার চায় । প্রতি মুহূর্তে তুমি কী আর এমনি এমনি ডিভোর্সড ?….এমন খোঁটায় বিষিয়ে তুললেও সংসার ছেড়ে যায় না ।
অসংখ্যবার অসংখ্যভাবে অপদস্ত , অপমানিত হয়েও দাম্পত্য সম্পর্ককে আগলে বাকি আয়ূ শেষ করতে চায় । কারণ , প্রথম সংসার ভেঙে যাওয়ায় যতখানি সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় , তা আর দ্বিতীয়বার হতে দিতে চায় না । এদের কপালে অবশ্য চরম শিক্ষা হিসেবে তেমন সুপুরুষ জোটে , যারা ডিভোর্সড হওয়ার কারণে চাকরি ও আশ্রয় হারিয়ে যাযাবর ছিলো ।
সামাজিক মর্যাদা হারিয়ে পরিজন বা স্বজন ও বন্ধু মহলে লজ্জায় মুখ দেখাতে পেতো না । কেমন পুরুষ তুমি যে একটা বিয়ে করা বউ সংসারে বেঁধে রাখতে পারো নি ? শারীরিক অক্ষমতা আছে নাকি ?
পরকীয়ায় চরিত্র বেচে খেয়েছো ?….এমন অজস্র প্রশ্নে নিজের ভেতর নিজে প্রতি মুহূর্তে মরে যেতো ।
কপাল গুণে অসহায় এবং সন্তানসহ এক ডিভোর্সড নারীকে বিয়ে করে মুহূর্তে সেই পৌরুষ ফিরে পায় , যার গুণে সারাজীবন নিজে যেভাবে মানুষের লাথি খেয়ে এসেছে ,
তার রিটার্ন দিতে শুরু করে । ভুলে যায় , গর্ভের সন্তান কলিজায় আগলে বাঁচা ডিভোর্সড নারী বলেই তার মতো ডিভোর্সড বেকার সিঙ্গেল ফাদারকে জীবনসঙ্গী হিসেবে কবুল করেছিলো ।
ডিভোর্সড হওয়ায় প্রথমবার যে পুরুষ সামাজিকভাবে হেয় হয়েছিলো , সেই পুরুষই সময় ও সুযোগের সদ্ব্যবহার করে নতুন সংসারে মেয়ে সন্তানের বাবা হয়েও বিয়ের গ্রুপগুলোয় পাত্রী চেয়ে নাটকীয় ডায়লগ সমৃদ্ধ পোস্ট শেয়ার করে ১৮ থেকে ৪৮ বছর বয়সী অসংখ্য ডিভোর্সড ,
বিধবা , অবিবাহিতা মেয়ের সাথে নোংরা সস্তা গল্পে সময় পার করে ।
মনে এক ধরনের আত্মতৃপ্তি যে ফেইসবুকে কে , কাকে চেনে ? ফেইক আইডি ব্যবহার করে মাস্তি করলে কেইবা জানতে পারবে ? কিন্তু , দুর্ভাগ্য….চোরের দশদিন আর সাধুর একদিন । পড়বি তো পড়্ , বউয়ের হাতেই ধরা পড়ে যায় একদিন । নির্লজ্জ কখনও নিজেকে সংশোধন করে নিতে চায় না । চরিত্র একবার নষ্ট হলে আর তা পবিত্র করা সম্ভব হয় না ।
তাই , মেয়ের মায়া ভুলে রোজ চেষ্টা করে বউকে সংসারে অতিষ্ট করে কীভাবে , কত জলদি আবার সিঙ্গেল ব্যাচেলর হওয়া যায় । কী করে তার মতো নষ্ট চরিত্রের সস্তা নারীদের সাথে ফালতু নোংরামি মাস্তি করে সময় উপভোগ করা যায় ।
নিজের মা , বোন বা ঔরসজাত মেয়েকে সম্মান করতে জানলে অবশ্য নিজ থেকেই শুধরে যেতো ।