চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় এনজিও কর্মির হামলায় ঋণগ্রহীতার স্বামী আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি মঙ্গলবার(২২ফেব্রয়ারি) সকাল সাড়ে আটটার দিকে সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জীবননগর পৌর এলাকার ডাঙ্গাপাড়ার চাঁদ আলীর ছেলে হতদরিদ্র আব্বাস উদ্দিন বিশা(৪০) বলেন,আত্মবিশ্বাস এনজিও সংস্থা থেকে আমার স্ত্রী নাসিমা বেগম গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০ হাজার ঋণ উত্তোলন করে।
আমরা উক্ত ঋণের কিস্তি প্রতি সপ্তাহে ৫০০ টাকা হারে নিয়মিত পরিশোধ করে আসছি। তবে মাঝখানে করোনা পরিস্থিতির কারণে কয়েকটি কিস্তির টাকা বাকী হয়ে যায়।এনজিও সংস্থা আমাদের নিকট আর মাত্র এক হাজার ৩২৫ টাকা পাবে।
উক্ত এনজিও সংস্থার আদায়কারি শহিদুল ইসলাম প্রতি সপ্তাহের মত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে আমাদের বাড়ীতে কিস্তির টাকা আদায় করতে যান। আমি তাকে বলি আজ আমাদের খুব সমস্যা,আগামী সপ্তাহে কিস্তির টাকা দেব।
এ কথা শোনার পর শহিদুল ইসলাম আমাকে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
আমি প্রতিবাদ করলে তিনি আমার গলা চেপে ধরে এবং বাম চোখের ওপর মোটর সাইকেলের চাবি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি।আত্মবিশ্বাস এনজিও সংস্থার মাঠকর্মি শহিদুল ইসলাম ঘটনার আংশিক স্বীকার করে বলেন,ঋণগ্রহীতার স্বামী আব্বাস উদ্দিন বিশা ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে সে আমার সাথে খারাপ আচরন করতে থাকে।
তাকে আমি মারিনি। তবে ধস্তাধস্তির সময় চাবিতে লাগতে পারে।জীবননগর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন,এনজিও কর্মির হাতে লাঞ্চিত আব্বাস উদ্দিন বিশা আমার নিকট এসেছিল। আমি তার চোখের ওপর রক্তাক্ত জখম দেখেছি।
বিশা আমাকে বলেছে ঋণের কিস্তি দিতে না পারায় আত্মবিশ্বাস এনজিও সংস্থার মাঠকর্মি শহিদুল ইসলাম তাকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করেছে।
ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খজনক। আমি তাকে আইনি আশ্রয়ের জন্য পরামর্শ দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম বলেন,এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে দিতে না পারলে মারপিটের ঘটনা একটি অপরাধ।
ঘটনার ব্যাপারে আহত পরিবার ফৌজদারি মামলা করতে পারেন।