পরিচয় তিনি পেয়েছিলেন অনেক কিছুর, পথচলার শুরু তার যেমনই হোক না কেন? যেন ছিল তার জয়জয়কার এক প্রান্ত দিয়ে শুরু করে আরেক প্রান্তে। দুই মাধ্যমেই তার জ্যোতি ছড়িয়েছেন অভিনেত্রী বা নৃত্যশিল্পী।
তিনি দেখিয়েছেন সেই ১৯৭৬ সালেই অভিনয়ের উষ্ণতা। অজান্তেই লাইট ক্যামেরায় গিয়ে আটকে গেলেন সেটা টেরই পেলেন না নাচকে ভালবেসে বেড়ে ওঠা মেয়েটা কখন যেন।
প্রথম মৃগয়া সিনেমায় আত্মপ্রকাশ তার কিংবদন্তী পরিচালক মৃণাল সেনের হাত ধরেই। পরিচয় তারও বছর তিনেক আগে মৃণাল সেনের সঙ্গে মমতা শঙ্করের অনেকেরই অজানা এই গল্প। বাবা বলেই মেনেছেন মমতা মৃণাল সেনকে আজীবন। কারণ ১০০ টাকা যা মৃণাল দিয়েছিলেন মমতার প্রথম রোজগার।
মৃণাল সেনের সুবাদে মস্কোয় প্রথম ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যাওয়াও। বিশ্ব চলচ্চিত্রের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ‘মৃগয়া’ ছবি মিঠুন চক্রবর্তী এবং মমতা শঙ্করের অভিনয়ের জন্য।
তৈরি হয়েছে ‘মৃগয়া’ চলচ্চিত্র ওড়িয়া গল্পকার ভগবতি চরণ পানিগ্রাহী’র গল্প অবলম্বনে। নির্মিত হয়েছে কাহিনি প্রেক্ষাপটে এক আদিবাসী যুবকের জীবন সংগ্রামকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ শাসিত ভারতের। শিকারই তার নেশা এবং পেশা ঘিনুয়া একজন সরল আদিবাসী যুবক। শিকারের নেশায় মত্ত ইংরেজ সাহেবও।
পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার সত্যজিৎ রায়ের ‘আগন্তুক’ চলচ্চিত্রের জন্য। পেয়েছেন বিএফজেএ পুরস্কার ‘শাখা প্রশাখা’ এবং ‘উৎসব’ ছবির জন্য। আজ ৬৬ বয়সে পা দিলেন এই অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী।