ফলটির নাম গাব ফল।
গাব নামের শব্দের সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত,অথচ খুব কম লোক দেখেছে ফলটি।
মূলত গাব আমাদের দেশে ব্যবহৃত হয় মাছ ধরার জাল কে পানিতে পচন থেকে থেকে আটকানোর জন্য,গাবের ঔষধি গুনও অনেক।
কাচা গাব ঢেকিতে অথবা বিভিন্ন পদ্ধতিতে পিষ্ঠ করে,পানিতে ডুবিয়ে কস/আঠা গুলো বের করে নেওয়া হয়।
সেই পানিতে মাছ ধরা দড়ি,জাল,পানিতে ব্যবহার এমন জিনিস,গাবের পানিতে ভিজিয়ে রোদে শুকালে,দড়ি,জাল পানির পচন,এবং দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়।
গাবের অনেক কয়েকটা জাত আছে,তার ভিতর বিলেতী,এবং দেশী গাবের গাছ দেখা যায়।
আগে অনেক গাব গাছ দেখা গেলেও কালের বির্বতনে হারিয়ে গেছে।
এইতো ১০ বছর আগেও জীবননগর ৬নং ওয়ার্ড কাজীর বাগানে বিশাল কয়েকটা গাব গাছ ছিল।
আমরাও গাব পাড়তে যেতাম,গাছ গুলো মরহুম কাজী সাহেব সবার জন্য উন্মুক্ত রেখেছিল,প্রাচীন গাছ গুলো আর নেই,বিশাল কাজীর বাগানের চিহ্ন টুকুও নেই,কাজীর বাগানের আয়তন এতটাই বিশাল ছিল,তার আশপাশে যেতেও ভয় ভেত,এত ঘন জঙ্গল ছিল।
কাচা গাব যেমন উপকারী তেমনি,পাকা গাব তেমন সুস্বাদু উপকারী, অনেকদিন পর সাতহ্মীরাতে গাব পেয়ে গেলাম😊
পাঠ্য বাঘধারাতে পড়েছি :কথা গাব গাছের গুড়ি বর্তমানে সেই বাঘধারাও গাবগাছের মত হারিয়ে গেছে বই থেকে,সেগুলো আর পড়ানোই হয়না হয়ত।