“”” আত্মতৃপ্তি “””
গত ২৮/০১/২০২২ ইং এর আগে আমাদের জীবননগর বাজারে সিএমবি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার করাণে অনেক দোকানপাট ভাঙ্গা পড়ে।যার ফলে
হোটেল সহ অনেক দোকান ভাঙ্গা পড়ে।
সে হিসেবে ষ্টান্ডে কোন হোটেন নাই।যার জন্য সিরাজ হোটেলে প্রচন্ড চাপ। সে জন্য আমি ভাবলাম আপুর বাসাই নাস্তা করব ভেবে গাড়ী টান দিই।কিন্তু ততখনে দশটা বেজে গেছে।তাই স্টান্ডে একটা সালাদিয়া হোটেলে ডুকে নাস্তা করে নিলাম।হোটেলের বিল দিয়ে বের হয়ে আসার সময় এক পাগলি হোটেল মালিকের কাছে তরকারি চাইছে।তো হোটেল মালিক পাগলি কে মাংসের গাবলা দেখিয়ে বললো মাংস দিব?
পাগলি বললো না।
এবার মাছের গামলাটা দেখিয়ে বললো মাছ দিই এই দেখ বড় মাথাটা দেই।
পাগলিটা বললো না।
পরে পাগলিটা পেয়াজ মরিচের প্লেট থেকে কিছু পেয়াজ আর মরিচ নিয়ে বেরিয়ে আসলো।
ঘটনা ২ঃ-
আমি আমার এলাকায় কত দিন বাসে বা ভ্যান রিক্সায় চড়িনি তার কোন ঠিক নাই তারপরও প্রায় দশ বছর হবে।
তো কিছুদিন আগে আলমডাঙ্গাতে গেছিলাম।
তো আলমডাঙ্গা থেকে মুন্সিগঞ্জে বাসে করে আসছি তো এক সিট পরেই এক মহিলা পাগলি বসেছে। তো আমি কন্টাক্টটর আসলো ভাড়া চাইলো সে পাঁচ টাকা দিলো।
কোন ভাবে তার সাথে কথা শুরু হলো সে অনেক গল্প শুরু করে দিলো আমার সাথে।
খেয়াল করলাম কিছু মানুষ আমার দিকে আড় চোখে দেখছিলো।আমি একে একে তার সব কিছু জানলাম।
তার বয়স সে ঠিক জানে না তবে প্রায় আশি নব্বই বছর হবে।
তার তিন ছেলে সব গুলো মারা গেছে।
স্বামী দুইটা দুটো স্বামীই মারা গেছে আপন বলে তার স্টেশনের ঝুপড়ী ঘর।সে আমার কাছে কাগজ চাইলো বার বার আমি তাকে জিগাইলাম কাগজ কি হবে?
সে বললো মামলা করবে।
তার জমাজমি কেও একজন লিখে নিয়েছে তার নামে মামলা করবে।
এক পর্যায় সে আমার কাছে টাকা চাইলো আমি বললাম আচ্ছা দিব তুমি গল্প বলো।
সে তার ছেলে বৌদের খুব মিছ করে।
যাহোক পরে তাকে আমি একটা বিশ টাকার নোট দিলাম সে খাব খুশি হলো।
আমার হাতে মুখে তার হাত দিয়ে চুমু খেতে লাগলো।
পরে আরো একটি বিশ টাকার নোট দিলাম এবার এটা পেয়ে সে কেদে ফেললো।
সব শেষ তাকে আমি আর একটি দশ টাকার নোট দিয়ে মোট পঞ্চাশ টাকা পুরিয়ে দিলাম।
এতে তার খুশি আর আমার জন্য তার আনন্দ অস্রুতে দুচোখ ভেজায়ে দোওয়া দিতে থাকলো।
কি ইমেজিং তাই না?
একজনের মাছ মাংসের কোন অভাব নেই কাচা মরিচ আর পেয়াজ হলেই চলে।
আর একজন পঞ্চাশ টাকা পেয়ে কত খুশি।
এই পঞ্চাশ টাকা আপনি আপনার স্ত্রী কে দিলে সে কখনোই খুশি হবে না।উল্টো আপনাকে ভৎসনা করত।বন্ধুকে দিলে সেও হয়ত বলতো মাত্র,,,,,।
আসলে আমাদের যার যেমন চাহিদা তার সুখটা তেমন।
তাই চাহিদা যত কম থাকবে সুখের সম্ভবনা তত বেশি।