বাংলাদেশে এবার বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম করে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাস্যের প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
এবারের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য হলো-
“তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল কর মলিন মর্ম মুছায়ে”
এটি মূলতঃ রজনীকান্ত সেন রচিত একটি হিন্দু ধর্মীয় প্রার্থনা সঙ্গীত।
এতে মূলতঃ হিন্দুদের উপাস্যের কাছেই মঙ্গল কামনা করা হয়েছে৷
কোনো মুসলমানের পক্ষে হিন্দুদের ভগবান ও দেবদেবীদের কাছে মঙ্গল কামনা করা সুস্পষ্টতঃ শিরক।
ঔদ্ধত্যের ব্যাপার হলো এই শিরকের আয়োজন করা হয়েছে আবার পবিত্র রোজার মাসেই।
খেয়াল করে দেখুন গানটিতে বলা হয়েছে, “তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল কর মলিন মর্ম মুছায়ে”, একথা শুনে মনে হবে খুবই ভালো কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আসলে কার কাছে কী বলা হচ্ছে তা পুরা গানটিতেই বলা আছে।
“তুমি দাঁড়াও, রুধিয়া পন্থা;
তব, শ্রীচরণ তলে নিয়ে এস, মোর
মত্ত-বাসনা গুছায়ে!
মলিন মর্ম মুছায়ে ।”
এই যে স্পষ্ট করে শ্রীচরণের কথা এসেছে৷ শ্রীচরণ মানে কি? শ্রীচরণ হলো, হিন্দুদের ভগবান বিষ্ণুর পাদদেশ।
এখন কথা হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যত খুশি তারা শ্রীচরণে সমর্পিত হোক, তাদের ধর্মীয় সঙ্গীত নিয়ে থাকুক।
কিন্তু অসাম্প্রদায়িকতার নাম করে সব ধর্মবর্ণের মানুষের নববর্ষ উদযাপনে কেন তাদের ধর্মীয় প্রার্থনা প্রতিপাদ্য করা হলো?
রোজার মাসে এ কাজ পরিকল্পিতভাবেই করা হয়েছে৷
এখন আমার কথাটা খুব পরিষ্কার, এক মাঘে শীত যায় না। শ্রীচরণ সঙ্গীত যেমন চালাকি করে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে তেমনি একদিন ইসলামী সঙ্গীতও মঙল শোভাযাত্রায় গীত হবে। কলেমা উচ্চারিত হবে। গরু জবাই করে তার গোশত চারু কলাতেই বিলি করা হবে। সেই দিন মেনে নিতে পারবে তো হিন্দু সঙ্গীত অলারা?
মঙল শোভাযাত্রার নামে হিন্দুত্ববাদী শিরকের প্রতিবাদ কেউ করে কি না জানি না। যারা সব সময় ধর্মের কথা বলে, ধর্মীয় রাজনীতি করে, ধর্মীয় ওয়াজ করেন, বই বিক্রি করেন তারা কতটা সরব হয় দেখা যাক।
কিন্তু আমার কথা স্পষ্ট, এবার পবিত্র রোজাকে সামনে রেখে যে হিন্দুত্ববাদী তৎপরতা হচ্ছে, এতে পয়লা বৈশাখকেও ব্যবহারের যে বদমাইশি তা মুসলমানরা যে বোঝেনি এমন না৷
ঘুমিয়ে পড়া মুসলমানতো ভাবেই না যে তাদেরও করণীয় আছে। শত শত শিরকী গানের বিপরীতে লিল্লাহি তকবির স্লোগানই যথেষ্ট৷ পয়লা বৈশাখ, ভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস সহ সকল সার্বজনীন জাতীয় দিবসগুলোকে মুসলিমকরণ করা হলে কত শ্রীচরণই মুসলমানের পায়ের তলে চলে যাবে।
এবার মঙ্গল শোভাযাত্রার পুরো গানঃ
“তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন
মর্ম মুছায়ে ।।
তব, পূণ্য-কিরণ দিয়ে যাক্, মোর
মোহ-কালিমা ঘুচায়ে।
মলিন মর্ম মুছায়ে ।
তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন
মর্ম মুছায়ে ।
লক্ষ্য-শূন্য লক্ষ বাসনা ছুটিছে
গভীর আঁধারে,
জানি না কখন ডুবে যাবে কোন্
অকুল-গরল-পাথারে!
প্রভু, বিশ্ব-বিপদহন্তা,
তুমি দাঁড়াও, রুধিয়া পন্থা;
তব, শ্রীচরণ তলে নিয়ে এস, মোর
মত্ত-বাসনা গুছায়ে!
মলিন মর্ম মুছায়ে ।
তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন
মর্ম মুছায়ে ।
আছ, অনল-অনিলে, চিরনভোনীলে,
ভূধরসলিলে, গহনে;
আছ, বিটপীলতায়, জলদের গায়,
শশীতারকায় তপনে।
আমি, নয়নে বসন বাঁধিয়া,
ব’সে, আঁধারে মরিগো কাঁদিয়া;
আমি, দেখি নাই কিছু, বুঝি নাই
কিছু,
দাও হে দেখায়ে বুঝায়ে।
মলিন মর্ম মুছায়ে ।
তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন
মর্ম মুছায়ে ।
তব, পূণ্য-কিরণ দিয়ে যাক্, মোর
মোহ-কালিমা ঘুচায়ে।
মলিন মর্ম মুছায়ে ।
তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন
মর্ম মুছায়ে ।”
হিন্দুদের এই ধর্মীয় সঙ্গীতটির বিষয়টি প্রথম নজরে এনেছেন এএইচ চঞ্চল, তাকে শোকরিয়া।
যাই হোক, হিন্দুদের প্রার্থনা মুসলমানরা প্রত্যাখ্যান করে, আমরা পয়লা বৈশাখেও দোয়া করব-রব্বানা আতীনা ফিদ্দুনিয়া ওয়াফিল আখিরাতে হাসানা।
হে আল্লাহ আপনি আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে সমৃদ্ধি ও কল্যাণ দান করুন।
আমরা কখনোই মুশরিক পৌত্তলিক হিন্দু বা কোনো অমুসলিমের অন্তর্ভুক্ত নাই৷ আমরা এক আল্লাহকে বিশ্বাসকারী বাঙালি মুসলমান।
@খোমেনী এহসান
Thank you for your shening. I am worried that I lack creative ideas. It is your enticle that makes me full of hope. Thank you. But, I have a question, can you help me? https://www.binance.com/en/register?ref=P9L9FQKY
The point of view of your article has taught me a lot, and I already know how to improve the paper on gate.oi, thank you. https://www.gate.io/es/signup/XwNAU