আধুনিক মানুষ এখন একা হয়ে যাচ্ছে। মানুষ যখন ভালো থাকে, সুখে থাকে, সুস্থ থাকে তখন একা থাকাটা এনজয় করে। কিন্তু হতাশা, বিষণ্ণতা, ভয়, সন্দেহ, উদ্বেগ খুব বেড়ে গেলে, জটিল কিছু মানসিক রোগ হলে এবং দুরারোগ্য কোনো ব্যাধি হলে মানুষ তখন একা ও অসহায় বোধ করে।
সেই অসহায়ত্বের সময় এবং মানুষের জীবনে হতাশা, ব্যর্থতা ও বিপর্যয় নেমে এলে মানুষ কাউকে পাশে চায়। সে হতে পারে তার পরিবার, বন্ধু, সহকর্মী কিংবা স্বজন।
মানসিকভাবে শক্ত মানুষ সব বিপর্যয়ের সঙ্গে লড়াই করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। আবার অনেকেই নিজের বিচ্ছিন্ন অবস্থাকে মেনে নিতে পারে না। মানসিকভাবে সুস্থ মানুষ পেতে গেলে সুস্থ পারিবারিক পরিবেশ এবং সুস্থ সমাজ প্রয়োজন।
এই একা হয়ে যাওয়া নতুন কিছু চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে আসে মানুষের। বয়স হয়ে গেলে যেগুলোর সঙ্গে যুদ্ধ করা ক্রমেই কঠিন হয়ে যেতে থাকে।
মানব সমাজের ইতিহাস মানেই সমাজবদ্ধ মানুষের কথা বলে। পরিবার ও সমাজ ছাড়া মানুষ বাঁচে না, বাঁচা কষ্টকর। আমাদের মতো দেশগুলোতে মানুষ এখনো একা থাকাকে ভয় পায় বা এড়িয়ে চলে। বর্তমান শহুরে নিরাপত্তা, নানা প্রযুক্তিগত সুযোগ-সুবিধা মানুষকে একা বাস করার কিছু সুযোগ হয়ত করে দিচ্ছে, কিন্তু মানসিকভাবে মানুষ একা থাকা নিয়ে এখনো দুর্বল। এই কারণেই মানুষ শেষ দিন পর্যন্ত পরিবার, বন্ধু ও সন্তানের পাশে থাকতে চায়।
আমরা সবাই এখন ইঁদুর দৌঁড় প্রতিযোগিতায় আছি। এই প্রতিযোগিতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক বৈষম্য আমাদের হতাশা ও বিষণ্ণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। হতাশা মানুষের সৃজনশীলতা, বোধ ও বুদ্ধিমত্তা নষ্ট করে দেয়। চাপিয়ে দেওয়া সমাজ ব্যবস্থা মানুষকে আরও চাপের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।
এসব কারণেই সমাজে বাড়ছে আত্মহত্যা। সব মানুষের মানসিক ধরণ ও শক্তি এক নয়। সবাই সব আঘাত, প্রবঞ্চনা, লজ্জা, ব্যর্থতা, অশান্তি একভাবে মেনে নিতে পারে না এবং তখনই পালিয়ে যেতে চায়।
Nice post
Excellent
Good
right
Hmmm/