আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শোক দিবস!
২০০৯ সালে মেজর শাকিল সহ ৫৬ জন সেনা অফিসারকে জাতির সূর্যসন্তানদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। এই দিনটি বাংলাদেশের ক্যালেন্ডারের ইতিহাসে অন্যতম ভয়ানক, ও কলঙ্কময় একটি দিন।
গা শিউরে উঠে যখন হায়দার হোসেন এর এই গানের লাইন গুলো মনে পড়ে বা হঠাৎ ইউটিউবে দেখি….
“”আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়াও করিতে পারিনি চিৎকার, বুকের ব্যথা বুকে চাপিয়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার”…
কারন এই গানটার ভিডিও ও কথাগুলোতেই তুলে ধরা হয়েছে ২০০৯ সালের ২৫ শে ফেব্রুয়ারির ভয়ংকর পিলখানার বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা।
বাংলার গর্ব জাতির সুর্যসন্তান অনেক “সেনা অফিসারদের” সেই দিন নির্বিচারে গুলি ও গ্রেনেডের আঘাতে প্রান দিতে হয়েছিল।
পিলখানায় বিডিআর এর প্রায় ১৫,০০০ সদস্য সম্মিলিতভাবে তাদের মহাপরিচালক সহ উর্ধ্বস্থানীয় ৫৭ জন কর্মকর্তাকে নারকীয় হত্যা এবং কয়েকজনকে জিম্মি করে পাশাপাশি সেই দিন পিলখানার আশেপাশে বেসামরিক আরো ৭ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
আজও জাতি জানতে পারলো না কি অপরাধ ছিল তাদের, কি জন্য তাদের এই তাজা প্রানগুলো কেড়ে নিয়ে পরিবার ও ছেলে সন্তানদের এতিম করা হলো।একদিন এর বিচার হবে।
বিগত ১৩ বছর ধরে দেশের মানুষ দাবী জানিয়ে আসছে। ২৫শে ফেব্রুয়ারিকে সেনা হত্যা দিবস। কিংবা শোক দিবস ঘোষণা করার। দিনটিতে সরকারি ছুটি ঘোষণার। পাঠ্যপুস্তকে এই ঘটনা যুক্ত করার। নিহত সেনা অফিসারদের মরণোত্তর বীরত্বের পদক দেয়ার।
কিন্তু এই দাবীর প্রতি কর্ণপাত তো দুরের কথা। উল্টা এই শোকাবহ দিনটিতে ক্রিকেট খেলার জমকালো উৎসব করা হয়েছে। এবছর আবার আজকের দিনে নতুন নির্বাচন কমিশনের নাম ঘোষনা করে। মানুষের দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে দেয়া হবে কিনা। সে আশংকাটা এবার যেন সত্য না হয়।
Writen by Abu Hanif Biplab
Your article gave me a lot of inspiration, I hope you can explain your point of view in more detail, because I have some doubts, thank you.