বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে,দুইজনে রোজা মুখে উপজেলার এক প্রান্ত থেকে জীবননগর এসেছে অভাবের তাড়নায়,পেটের জ্বালায় ভিহ্মা করছে।
প্রথম মহিলার বাড়ি কেডিকে ইউনিয়নের কাশীপুরের মাঝের পাড়া,স্বামীর নাম মৃত বল্টু ছেলে আছে একটা তবে সে নাকি খেতে দেয় না,ছেলের তবে নাম টা অনেক চেস্টার পরও মনে করতে পারেনি,বয়স্ক ভাতা দিয়েছিল,মোবাইল থেকে জালিয়াতি করে তুলে নিয়েছে, সেই টাকাটাও ভাগ্য জুটেনি।
দশ টাকা চাইল ১০০ টাকা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিলাম,তারপর কান্না কন্ঠে একটা শাড়ি চাইল,ব্যাস্ততার কারণে হয়ে ওঠল না,বললাম যাও ইনশাল্লাহ পৌছিয়ে দিয়ে আসবনি।
২য় ব্যাক্তির বাড়ি আন্দোলবাড়ীয়া ইউনিয়নে,তার ভাগ্যেতে জোটেনি কার্ড তারভাষ্য মতে,নিজের ঘরটুকুও নেই,জীবনের শেষ সময়েও পরের বাড়ি থাকে,মাওলানা নামের ব্যাক্তির বাড়ি।
স্বামী মৃত,একটা মেয়ে আছে তাও বিয়ে হয়ে গেছে।তাকেও কিছু টাকা দিয়ে বিদায় করলাম,আর যেস্হানে দেখা হলো,ওখান থেকে একটা শাড়ি নিয়ে যেতে বললাম।
এই লজ্জা কার??পাচ ওয়াক্ত নামায,রোজা করে কি লাভ আপনার বাড়ির পাশের লোক অনাহারে দিন কাটাচ্ছে,আপনাদের একটু সহানুভূতিশীল তারাও ভাল ভাবে বাচতে পারে।
সরকারী এত চালের বরাদ্দ, সরকারী ঘর পেল কারা?তাদের ভাগ্যতে কি জুটেবে না।
আমি দোষ প্রশাসন কে দেব না,একজন উপজেলা নির্বাহীর পহ্মে খোজ রাখা সম্ভব নয়,দোষ দেব জনপ্রতিনিধিদের কারণ,তাদের সমস্যা গুলো তুলে ধরতে পারেনি,অথচ তারা চাইলেই পারত।
লোক দেখানো দান করে,ইফতার,ওয়াজ মাহফিল করে,ফেসবুক,পএিকা নিউজ করে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে লাভ নেই।
কোন কাজে আসবে না,আশপাশের দরিদ্র মানুষের প্রতি সদয় হোন,কোটি কোটি টাকার মালিক,অথচ নাম মাএ যাকাতে ২০০ টাকার শাড়ি দিলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।
আল্লাহ কখনোই হ্মমা করবে না।
সবাই কে অনুরোধ যাকাত ফিতরা গুলো প্রকৃত অসহায় কে দিন,১০ জনকে না দিয়ে ২ জন কে দিন,যেন সেই অর্থ দিয়ে চাল কিনে খেতে পারে।
আবার ধরুন ফিতরা ৭০ টাকা ধরা হয়েছে সর্বনিন্ম,তো অনেকের ধারনা এই ৭০ দিলেই হয়ে গেল,কিন্ত ভাই আগে সর্বনিন্ম লেখা আছে,আপনি উপরে যা,দিয়ে পারেন,আপনি লাখপতি, কোটিপতি,৭০ টাকা দিলেই তো কখনই বৈষম্য কমবে না।
সবাই প্রতিবেশীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন।